প্রকাশিত: ০২/০৬/২০১৭ ৮:৫৭ পিএম , আপডেট: ১৭/০৮/২০১৮ ৫:১০ পিএম

শফিক আজাদ,উখিয়া নিউজ ডটকম ::
সৌদি আরব নিয়ে যাওয়ার কথা বলে উখিয়ার পাশ^বর্তী ঘুমধুম জলপাইতলি এলাকার হতদরিদ্র ছেনোয়ারা বেগম (৪৫)এর নিকট থেকে ৯০ হাজার টাকা এবং ১০শতক জমি হাতিয়ে নেয় ওই এলাকার চিহ্নিত ইয়াবা কারবারি জহির আহমদ(৩২)। কিন্তু সৌদি আরব না নেওয়ায় জহিরের নিকট থেকে পাওয়া টাকা এবং জমি ফেরত চাইলে সে তাঁকে এলোপাতাড়ি কূপিয়ে ছেনোয়ারাকে মারাত্মক জখম করে। এ নিয়ে প্রথমে থানায় আশ্রয় নিলে থানা পুলিশ সন্তোষজনক জবাব না দেওয়ায় পরবর্তীতে বান্দরবান জেলা চীফ জুডিশিয়াল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছে।
জানা গেছে, ঘুমধুম জলপাইতলি এলাকার ছৈয়দ আহমদের ছেলে জহির দীর্ঘদিন বিদেশ থাকার পর দেশে ফিরে এসে মরণনেশা ইয়াবা কারবারে জড়িয়ে পড়ে। মিয়ানমার সীমান্ত সংলগ্ন বাড়ী হওয়ায় আইনশৃংখলা বাহিনী তাঁকে কোন সময় আটকাতে পারেনি। সে সুবাধে সে দিন দিন কোটি টাকার মালিক বনে যায়। নিরাপদে ইয়াবার কারবার চালিয়ে যাওয়ার জন্য জহির উখিয়ার রোহিঙ্গা অধ্যূষিত কুতুপালং বাজারে একটি দোকান ভাড়া নেয়। ওই দোকান থেকে সারা দেশে ইয়াবা চালান পাচার করে থাকে জহির। মামলা,হামলা ও টাকার ভয়ে স্থানীয় লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে মূখ খুলছে সাহস পাই না। যার ফলে সে দিন দিন অপ্রীতিরোধ্য হয়ে উঠে। নামে বেনামে ঘুমধুমে গড়ে তুলেছে কোটি টাকার সম্পদ। এদিকে বিদেশ ফেরত যুবক জহির বিদেশে থাকাকালীন সময়ে ছেনোয়ারাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে তাঁর সর্বস্ব হাতিয়ে । জহির বিদেশ থেকে দেশে চলে আসলে ছেনোয়ারা তাঁর দেওয়া টাকা এবং জমি ফেরত চাই অনেক বিচার দায়ের করে। কিন্তু তাঁর টাকার কাছে বার বার হেরে যায় ছেনোয়ারা। উল্টো টাকা এবং জমি না দিয়ে তাঁকে অনেক বার মারধর করে আহত করে জহির। তাঁর টাকার কাছে সবকিছু জিম্মি হয়ে পড়ায় কেউ তা এই অন্যার বিরুদ্ধে মূখ খুলছেনা। গতকাল শুক্রবার ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে ফিরে আসার সময় রাস্তার পাশের্^ বসে থাকা এই হতদরিদ্র ছেনোয়ারার সাথে কথা হলে এসব বিস্তারিত কাহিনী উঠে আসে। সে এসময় বলেন, তাঁর উপযুক্ত ৩টি মেয়ে রয়েছে। এদের লালন করা তাঁর দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।
ঘুমধুম তদন্ত কেন্দ্রের আইসি এরশাদুল্লাহ নিকট থেকে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আহত ছেনোয়ারা আমার কাছে আসছিলেন, আমি দ্রুত চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু এরপর থেকে আর আমার কাছে আসেনি।

পাঠকের মতামত

টেকনাফের পাহাড়ে ডাকাতদলের সঙ্গে পুলিশ-কোস্টগার্ডের গোলাগুলি

কক্সবাজারের টেকনাফে সশস্ত্র ডাকাতদলের সঙ্গে কোস্টগার্ড ও পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলি হয়েছে। উপজেলার জাদিমুরা পাহাড়ে এ ...